

লাল আটা (Red Flour)
আটা বিভিন্ন খনিজ উপাদানে ভরপুর একটা খাদ্য উপাদান । ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আটার তৈরি খাবার খুবই উপকারী। মূলত গমের উপরিভাগের আবরণের কারণেই আটা দেখতে লালচে হয়। এই লালচে আবরণই মূলত উপকারি। এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের দেহের ৩০০ রকমের এনজাইমের কাজ করে। গমের লাল আবরণে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে। লাল আটায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড ও আঁশ বেশি থাকে। উল্টো দিকে আবার ক্ষতিকর ফ্যাট ও ক্যালরি কম। লাল আটায় থাকা উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, ফলিক এসিড, জিংক, কপার, ভিটামিন বি১, বি২ ও বি৩। সাধারণত পুষ্টিকর খাবারে পাঁচ ধরনের উপাদান থাকে—শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল। যেকোনো ধরনের শস্যদানায় এই উপাদানগুলো থাকে, যেগুলো আমাদের দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে অর্থাত্ শক্তি জুগিয়ে থাকে এবং কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
লাল আটার উপকারিতা
১। লাল আটায় নিয়মিত খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।২০১৬ সালের রিভিউ এ্যানালাইজড এক গবেষণায় জানা যায় নিয়মিত লাল আটার রুটি খাওয়ার ফলে ২২% পর্যন্ত হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
২।গমের লাল আবরণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান উপস্থিত। এই উপাদানগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম। কেননা দেহে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৪। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ।
৫। রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। সেই সাথে হৃদযন্ত্রের জন্য বেশ উপযোগী।
৬। প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রেন্ট বিদ্যমান যা দেহকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়ক।
৭। ওজন কমাতে ভূমিকা পালন করে।
৮। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সেই সাথে পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।🎯গাঁও গ্রামের পণ্যের লাল আটা (Brown Atta) কেন খাবেন ?
১। নিজস্ব তত্ত্বাবধাণে সংগৃহীত গম থেকে প্রস্তুতকৃত।
২। উন্নত মানের গম থেকে প্রস্তুতকৃত। ফলে আটার মান নিয়ে কোন শঙ্কা থাকে না।
৩। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গুণগত মানের নিশ্চয়তা।
৪। গমের লাল আবরণ সহ ভাঙানো হয় বিধায় সম্পূর্ণ পুষ্টিগুন বজায় থাকে।
৫। কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপকরনের ব্যবহার করা হয়নি।
৬। ধুলা-বালি এবং ক্ষতিকর উপাদানের মিশ্রণ মুক্ত।
লাল আটার রুটি সব দিক দিয়েই স্বাস্থ উপযোগী খাবার। তাই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এর উপস্থিতি সুস্থতা নিশ্চিত করে।
Reviews
There are no reviews yet.